1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কক্সবাজারে ৭০ শতাংশ হোটেলের কক্ষ অগ্রিম বুকিং

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২
  • ২৩৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কক্সবাজার অভিমুখী দেশীয় পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। রোববার (১০ জুলাই) উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে ঈদের ছুটি কাটাতে পর্যটন নগরীতে দলে দলে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। তবে ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকের সমাগম আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

এরই মধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস-রেস্ট হাউসের ৬০-৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। ভরা বর্ষায় প্রবল বর্ষণের মিষ্টি পানি আর সাগরের লোনা জল গায়ে মেখে একাকার। সাগরের প্রচণ্ড গর্জন শুনতে প্রকৃতিকে ভিন্নভাবে উপভোগ করতে এবার অসময়েও ছুটে আসছেন লাখো পর্যটক।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো বিশেষ করে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী আদিনাথ, মন্দির, রামুর বৌদ্ধ মন্দির ও প্যাগোডা, হিমছড়ি ঝর্ণা, দরিয়ানগর প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য ইনানী পাথুরে বিচ, সোনাদিয়া, টেকনাফ থানার মাথিনের কূপ, পাটোয়ারটেক, সৌখিন বার্মিজ মার্কেট, ঝিনুক, মার্কেট, ঘুমধুমের এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত কুমির প্রজনন কেন্দ্র নাইক্ষ্যংছড়ি গয়াল প্রজনন কেন্দ্র ও মেরিন ড্রাইভসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট হতে পারে পর্যটকদের ভ্রমণে অন্যতম আকর্ষণ।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক আসতে শুরু করেছে। ঈদের পরে দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটবে কক্সবাজারে।

হোটেল মালিক সমিতির নেতা ওমর সুলতান বলেন, আমাদের অতিথি পর্যটকদের সেবায় হোটেল মালিক পক্ষ খুবই সচেতন। পর্যটক সেবার মান ধরে রাখতে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে।পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে হোটেল কর্তৃপক্ষ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছে।

হোটেল-মোটেল অফিসার্স ওনার্স অ্যাসোশিসনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ জানান, ঈদের ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকের শতভাগ সেবা নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর। অধিকাংশ হোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই খালি কক্ষগুলো বুকিং সম্পন্ন হবে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটক দম্পতি নুরুল কবির ও সামিয়া কবির বলেন, চাকরিতে ছুটি পাওয়া খুবই কঠিন। ঈদে ছুটি পেয়েছি। তাই আগেই হোটেল বুকিং করে শুক্রবার ভোরে কক্সবাজার চলে এসেছি। টানা এক সপ্তাহের ছুটি ও ঈদ এখানেই কাটাতে চাই। শীত মৌসুমে অনেক বার কক্সবাজার এসেছি। ঘুরে ঘুরে দেখা হয়েছে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। তবে বর্ষার বৃষ্টি ভেজা কক্সবাজার উপভোগ করতে চাই এবার।

কক্সবাজার ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) প্রধান উপদেষ্টা মফিজুর রহমান জানান, এবারও ঈদুল আজহা বর্ষাকালে হওয়ায় পর্যটকরা শুধু সেন্ট মার্টিন ছাড়া কক্সবাজারের আর সব সৌন্দর্য উপভোগ করতে সক্ষম হবেন। বর্ষার পর্যটক বরণে পর্যটন স্পট সমূহে লেগেছে উৎসবের আমেজ। সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল ও সৈকতনির্ভর সব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের জন্যে সেজেগুজে প্রস্তুত।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান, প্রতিটি পর্যটন স্পটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও টেকনাফ, ইনানী হিমছড়িসহ সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ জানান, কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন থাকবে সক্রিয়। এ ছাড়া সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফোরকান আহমেদ বলেন, সারা বছর পর্যটক ধরে রাখতে শহরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প যেমন, লালদিঘী, গোলদীঘি, বাজার ঘাটার নাপিতাপুকুর, মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য, রূপ চাদা ভাস্কর্য ও ঝিনুক ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। চলমান রয়েছে শহরের প্রধান সড়কের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ। এরপর পরিকল্পিত নগরায়ন ও পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন,কক্সবাজারকে পর্যটকবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে সরকার।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..